ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া সুজন বর্মন নামের এক ভারতীয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আটক করে বিজিবির একটি টহল দল।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে এক সিন্ডিকেটের সহায়তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ভারতীয় চোরাকারবারি কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার মগবাজারের একটি হাসপাতাল থেকে সুজন বর্মনকে আটক করা হয় এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিরঝিল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত সুজন বর্মন ভারতের আগরতলা বটতলী গ্রামের মঙ্গল বর্মনের ছেলে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাকিব (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। একই ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক সুজন বর্মন (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। নিহত সাকিব কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গুচ্ছগ্রামের আব্দুল মোতালেবের পুত্র।
আরও পড়ুন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত পৌনে বারোটার দিকে মাদলা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সে সময় সাকিব ও সুজন সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিক তথ্যানুসারে, তারা চোরাই মোটরসাইকেল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল ইসলাম জানান, ভারতীয় নাগরিক সুজন বর্মণের সহায়তায় চোরাই পথে একটি মোটরসাইকেল আনার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যাতে উভয়েই গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাকিবকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ভারতীয় নাগরিক সুজন বর্মনকে ঢাকায় আটক করা হলো।