ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের আকাশসীমা সম্পূর্ণরূপে অবরোধ বা ব্লক করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলের বিমানবন্দরগুলোকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। হুথির সশস্ত্র বাহিনী বিশেষভাবে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে তাদের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সকল আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাকে এই অবরোধ ঘোষণার সময়কাল থেকেই কার্যকর বলে গণ্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বিমান এবং তাদের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে তাদের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছে হুথি।
হুথি বলেছে, ইয়েমেন লেবানন ও সিরিয়ার মতো আরব দেশগুলোর ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা মেনে নেবে না। তারা আরও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, কোনো প্রকার সংঘর্ষকে তারা ভয় পায় না এবং আত্মসমর্পণ বা যেকোনো ধরনের অপমান প্রত্যাখ্যান করবে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইয়েমেনে প্রতিদিন বিমান হামলা শুরু করেছে এবং দেশটিতে এক হাজারের বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার দাবি করেছে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো লোহিত সাগরে ইসরায়েলি এবং ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর ইয়েমেনি বাহিনীর হামলা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের গভীরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিযান বন্ধ করা। তবে, হুথি জানিয়েছে, তারা ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলের ওপর গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, শনিবার ভোরে সানায় তেল আবিবের দক্ষিণে একটি ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানে প্রতিশোধমূলক অভিযান চালানো হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, ইয়েমেনি বাহিনী যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জনগণের সমর্থনে ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলের বন্দরের দিকে অগ্রসরমান ইসরায়েলি জাহাজ বা জাহাজগুলিকে লক্ষ্য করে বহুবার হামলা চালিয়েছে।