বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। রবিবার (৪ মে) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে অফিসটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, “পাসপোর্ট একজন নাগরিকের জাতীয়তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। প্রায় নয় মাস এই অফিসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পুনরায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পাসপোর্ট অফিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জামাল হোসেন জানান, “আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পূর্ণ দালালমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সঠিক সেবা প্রদানের জন্য কাজ করে যাবো। জুলাই মাসে প্রায় আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার পাসপোর্ট আগারগাঁও থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিগুলোও সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে।”
আরও পড়ুন
পাসপোর্ট সেবা নিতে আসা সনদ সাহা সানি নামের একজন জানান, “আগে পাসপোর্ট নবায়ন করতে মুন্সিগঞ্জ যেতে হতো। এতে অনেক ভোগান্তি হতো। এখন পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড সংলগ্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে অফিস ভবন, আসবাবপত্রসহ গ্রাহকদের বিতরণের জন্য প্রস্তুত আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে যায়। অফিস কর্মকর্তারা জানান, এতে তিন কোটি ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
অফিসটি পুড়ে যাওয়ায় পাসপোর্ট তৈরি, নবায়ন ও অন্যান্য সেবা নিতে আসা প্রায় দেড় হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।