ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন। একইসঙ্গে, ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ অবসানের জন্য হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় এক সভায় তিনি অভিযোগ করেন, হামাস গাজায় ইসরায়েলের হামলার ন্যায্যতা তৈরি করেছে। যুদ্ধ শুরুর পর গত ১৮ মাসে হামাসের বিরুদ্ধে এটি তার সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য।
হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মাহমুদ আব্বাসের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম বলেন, মাহমুদ আব্বাস ‘নিজের লোকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতি অপমানজনক ভাষা’ ব্যবহার করেছেন।
গত সপ্তাহে, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ইসরায়েলের ওই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ৫৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়ার এবং গাজাকে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব ছিল। হামাস অবশ্য ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করলে এবং যুদ্ধ বন্ধ হলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানায়।
আরও পড়ুন
মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বর্তমানে পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৭ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। মাহমুদ আব্বাস এখন হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ও তাদের অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে কয়েক দশক ধরে তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। তাদের এই বিভেদের কারণে পশ্চিম তীর ও গাজায় একটি ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। মাহমুদ আব্বাস বলেন, হামাস ইসরায়েলের হাতে জিম্মি রেখে ‘অপরাধমূলক দখলদারিত্বের’ ন্যায্যতা তৈরি করেছে। হামাসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “কুকুরের বাচ্চারা, যাদের আটকে রেখেছ, তাদের ছেড়ে দাও। তাদের সুযোগ দেওয়া বন্ধ করো এবং আমাদের মুক্তি দাও।” তিনি আরও বলেন, হামাসকে অবশ্যই গাজার নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
আরও দেখুন